পাবনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং হারভেস্ট প্লাস প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় রোপা আমন মৌসুমে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২ জাতের আবাদ সম্প্রসারণ, উপকারিতা এবং স্বল্প জীবন কাল হওয়ায় ধানটির বহুল প্রচার ও প্রসার কৃষকমুখী করার লক্ষে সদর উপজেলার নলদহ (লালগোলা) গ্রামে এক মাঠ দিবস গত ৩ নভেম্বর অনুষ্টিত হয়। পাবনাস্থ কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া জোনের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. হযরত আলী । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মো.খয়ের উদ্দিন মোল্লা, বনিক বার্তা পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম দুলাল এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এটিএম ফজলুল করিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ ব্রি ধান ৬২ সম্পর্কে উপস্থিত কৃষকদের ধানটির উপকারিতা এবং আবাদের লাভজনক দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বগুড়া জোনের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো.হযরত আলী বলেন,ব্রিধান ৬২ একটি স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট জিংক সমৃদ্ধ ধান। এক কেজি চালে জিং আছে প্রায় ২০ মি: গ্রাম এবং প্রোটিন আছে ৯%। তিনি আরো বলেন,এ ধানটি রোপন হতে ১শত দিনে ঘরে উঠানো যায় ,তাই এর কর্তনের পর শীতকালীন আলু বা রবি শস্য আবাদ করা যায়।
সভাপতির বক্তব্যে উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকার জানান, স্বল্প জীবন কাল হওয়ায় ধানটি আবাদে লাভ বেশী। ফলন হেক্টর প্রতি ৪.০-৪.৫ মে. টন। বাংলাদেশে জিংকের অভাবে গ্রামের নরনারী নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রোগের মুখোমুখি হয়। সুতরাং জিংক ঘাটতি জনিত অপুষ্টি দূরীকরনে উপস্থিত সকলকে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৬২ ধান আবাদের মাধ্যমে সম্প্রসারণ ঘটিয়ে এ অপুষ্টি/রোগবালাই দূর করার আহবান জানান।
অন্যদের মধ্যে ধানটির আবাদ কারী প্রদর্শনী প্লটের চাষি আলহাজ মোসলেম উদ্দিন, পারচিথুলিয়া গ্রামের চাষি মাজেদ শেখ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ প্রদর্শণী প্লটের ব্রিধান ৬২ কর্তন করে এ মৌসুমের ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করেন।